বরগুনায় ওএমএস ট্যাগ অফিসারের সহায়তায় চাল ও আটা বিতরণে অনিয়ম করে যাচ্ছেন সাব ডিলার সাইলু


গোলাম রাব্বি(বরগুনা): 






বরগুনার খাদ্য অধিদফতর থেকে পরিচালিত সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মুল্যে (ওএমএস) খোলা বাজারে চাল এবং আটা বিতরণে অনিয়ম করে যাচ্ছেন সাব ডিলার সাইলু। আর এসবের সহায়তা করে যাচ্ছেন বরগুনায় কর্মরত তদারকি কর্মকর্তা (ট্যাগ অফিসার) শাহাদাত। জানাগেছে, পয়েন্টের মুল ডিলার মোসাঃ হোসনেয়ারা রানীকে প্রতিমাসে টাকা পরিশোধের মাধ্যমে ডিলার পরিচালনা করে আসছেন সাব ডিলার সাইলু। আর এ সুযোগের ব্যবহার করছেন তিনি। তাতে গরীব মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সরকারি নিয়মে শুক্র ও শনিবার ব্যতীত প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চাল ও আটা বিতরণ করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২ টার দিকে দৈনিক দ্বীপাঞ্চলের একটি টিম বরগুনা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কোরক প্রাইমারী স্কুল সংলগ্ন মোসাঃ হোসনেয়ারা রানী ডিলার পয়েন্টে গেলে সেটি বন্ধ থাকায় সেখানে উপস্থিত চাল ও আটা নিতে আসা ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বললে সাইলু এবং ট্যাগ অফিসারের এসব গোপন তথ্য বেড়িয়ে আসে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক (গোপন ভিডিওতে প্রমান) কয়েকজন নারী-পুরুষ জানান, তদারকি কর্মকর্তা (ট্যাগ অফিসার) শাহাদাত তিনি সাইলুকে এসব অনিয়মের ব্যাপারে সরাসরি সহযোগীতা করে আসছেন। যে কারনে সরকারি চাল ও আটা কালোবাজারে চলে যায়। তাই আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। প্রশাসনের মাধ্যমে এসবের প্রতিকার চাই। প্রকৃত ডিলার হোসনেয়ারা রানী মোবাইল ফোনে জানান, যদি প্রমান থাকে সাইলু অনিয়ম বা চুরি করে থাকেন। তাহলে তাকে পরিবর্তন করে নতুন কাউকে ডিলারি দেয়া হবে। বরগুনা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের নিয়োগকৃত তদারকি কর্মকর্তা (ট্যাগ অফিসার) শাহাদাত বলেন, সংবাদ প্রকাশের দরকার নেই। এ ব্যাপারে সাক্ষাতকার নিতে বরগুনা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা কাজী মো. গোলাম কিবরিয়া (ভারপ্রাপ্তর) অফিসে গেলে তিনি ছুটিতে রয়েছেন বলে জানাগেছে। উল্লেখ্য, দুপুরে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে একই মোটরসাইকেলে ওই পয়েন্টে চলে আসেন সাব ডিলার সাইলু এবং ট্যাগ অফিসার শাহাদাত। দুজনে মিলে মিশে বিকাল ৪ টা থেকে পুনরায় ৫টা পর্যন্ত বাকি চাল ও আটা বিতরণ করেন। এর আগেও গত (১২ ফেব্রুয়ারি) এ পয়েন্টে এমন ঘটনা ঘটে।